মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম এবং শেষ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান ও মোহাম্মদ নাইম শেখ। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৪২ রান। ব্যক্তিগত ১৩ রানে এস্টন টার্নারের বলে মাহেদি হাসান সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
মাহেদির পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিব ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২৩ রানে ডেনিয়েল ক্রিশ্চিয়ানের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মোহাম্মদ নাইম শেখ। নাইমের পর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। সৌম্য ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১১ রানে এডাম জাম্পার বলে সাজঘরে ফিরেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে রিয়াদ-সৌম্য গড়েন ২৪ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ১৯ রানে এস্টন এগারের বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্যাভিলিয়ন ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।
রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। সোহান ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ১৬ রানে ডেনিয়েল ক্রিশ্চিয়ানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন সৌম্য সরকার। সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফিফ ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৮ রানে নাথান এলিসের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন নুরুল হাসান সোহান। সোহানের পর ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সৈকত ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১০ রানে নাথান এলিসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
আফিফের পরে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সাইফউদ্দিনের পর ক্রিজে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের বাকি বলগুলো খেলে আসেন মোসাদ্দেক ও মুস্তাফিজ।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে মোহাম্মদ নাইম শেখ ২৩(২৩) রান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৯(১৪) রান ও সৌম্য সরকার ১৬(১৮) রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বল হাতে নাথান এলিস ও ডেনিয়েল ক্রিশ্চিয়ান ২টি করে উইকেট, এস্টন টার্নার, এডাম জাম্পা ও এস্টন এগার ১টি করে উইকেট নেন।
১২৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন ডেনিয়েল ক্রিশ্চিয়ান ও ম্যাথু ওয়েড। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৩ রান। ব্যক্তিগত ৩ রানে নাসুম আহমেদের প্রথম শিকার হয়ে ডেনিয়েল ক্রিশ্চিয়ান সাজঘরে ফিরলে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।
ক্রিশ্চিয়ানের পর ক্রিজে আসেন মিচেল মার্শ। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৪ রান যোগ করে নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মিচেল মার্শ। মার্শের পর ক্রিজে আসেন বেন ম্যাকডার্মোট। ম্যাকডার্মোট ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২২ রানে সাকিব আল হাসানের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন ম্যাথু ওয়েড। ওয়েডের পর ক্রিজে আসেন এলেক্স ক্যারি। ক্যারি ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১৭ রানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে সাজঘরে ফিরেন বেন ম্যাকডার্মোট। ম্যাকডার্মোটের পর ক্রিজে আসেন হেনরিকস। হেনরিকস ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৩ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন এলেক্স ক্যারি।
ক্যারির পর ক্রিজে আসেন এস্টন টার্নার। টার্নার ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৩ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন হেনরিকস। হেনরিকসের পর ক্রিজে আসেন এস্টন এগার। এগার ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১ রানে সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন এস্টন টার্নার। টার্নারের পর ক্রিজে আসেন নাথান এলিস। এলিস ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন এস্টন এগার।
এগারের পর ক্রিজে আসেন মিচেল সোয়েপস্যান। সোয়েপস্যান ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১ রানে সাকিব আল হাসানের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন নাথান এলিসের পর ক্রিজে আসেন এডাম জাম্পা।ক্রিজে এসে নামের পাশে ৪ রান যোগ করে সাকিব আল হাসানের চতুর্থ শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান এডাম জাম্পা।
শেষ পর্যন্ত ১৩.৪ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৬২ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যাট হাতে ম্যাথু ওয়েড ২২(২২) রান, বেন ম্যাকডার্মোট ১৭(১৬) রান ও এডাম জাম্পা ৪(৩) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সাকিব আল হাসান ৪ উইকেট, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩ উইকেট, নাসুম আহমেদ ২ উইকেট ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১টি উইকেট নেন।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- সাকিব আল হাসান।
ম্যান অফ দ্যা সিরিজঃ- সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ একাদশঃ- মাহেদি, নাইম, সাকিব, সৌম্য, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), সোহান, আফিফ, মোসাদ্দেক, সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজ ও নাসুম।
অস্ট্রেলিয়া একাদশঃ- ক্রিশ্চিয়ান, ওয়েড(ক্যাপ্টেন), মার্শ, ম্যাকডার্মোট, ক্যারি, হেনরিকস, টার্নার, এগার, এলিস, সোয়েপস্যান, জাম্পা।
