মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের দলপতি টম লাথাম।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন ফিন এলেন ও রাচিন রবিন্দ্র। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ১৬ রান। ব্যক্তিগত ১৫ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ফিন এলেন সাজঘরে ফিরলে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।
এলেনের পর ক্রিজে আসেন উইল ইয়াং। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইয়াং-রবিন্দ্র গড়েন ৩০ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২০ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে উইল ইয়াং প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। ইয়াংয়ের পর ক্রিজে আসেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। গ্রান্ডহোমের পর ক্রিজে আসেন টম লাথাম। লাথাম ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২০ রানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে সাজঘরে ফিরেন রাচিন রবিন্দ্র।
রবিন্দ্রের পর ক্রিজে আসেন হেনরি নিকোলস। লিকোলস ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৫ রানে মাহেদি হাসানের বলে সাজঘরে ফিরেন টম লাথাম। লাথামের পর ক্রিজে আসেন টম ব্লান্ডেল। ৬ষ্ট উইকেট জুটিতে নিকোলস-ব্লান্ডেল গড়েন ৬৬ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ। দুইজনে মিলে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে আসেন।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে হেনরি নিকোলস ৩৬(২৯)* রান, টম ব্লান্ডেল ৩০(৩০)* রান ও উইল ইয়াং ২০(২০) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২ উইকেট, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মাহেদি হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান ১টি করে উইকেট নেন।
১২৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন নাইম শেখ ও লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ২৩ রান।ব্যক্তিগত ১৫ রানে কোল ম্যাকেঞ্জির প্রথ। শিকার হয়ে লিটন দাস সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন।
লিটনের পর ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ১ রানে এজাজ প্যাটেলের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মাহেদি হাসান। মাহেদির পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত শূন্য রানে এজাজ প্যাটেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিক ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১৩ রানে রাচিন রবিন্দ্রের বলে সাজঘরে ফিরেন নাইম শেখ। নাইমের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৩ রান যোগ করে এজাজ প্যাটেলের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত শূন্য রানে এজাজ প্যাটেলের চতুর্থ শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফিফের পরে ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৮ রান যোগ করে কোল ম্যাকেঞ্জির দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন নুরুল হাসান সোহান। সোহানের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ব্যক্তিগত ৮ রানে কোল ম্যাকেঞ্জির তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সাইফউদ্দিনের পর ক্রিজে আসেন নাসুম আহমেদ। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত শূন্য রানে স্কোট কোগ্লেইনের বলে সাজঘরে ফিরেন নাসুম আহমেদ। নাসুমের পরে ক্রিজে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের শেষ ওভারে ব্যক্তিগত ৪ রানে কলিন ডি গ্রান্ডহোমের বলে সাজঘরে ফিরেন বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমান।
শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে মুশফিকুর রহিম ২০(৩৭)* রান, লিটিন দাস ১৫(১১) রান ও নাইম শেখ ১৩(১৯) রান করেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে এজাজ প্যাটেল ৪ উইকেট, কোল ম্যাকেঞ্জি ৩ উইকেট, কলিন ডি গ্রান্ডহোম, রাচিন রবিন্দ্র ও স্কোট কোগ্লেইন ১টি করে উইকেট নেন।
নিউজিল্যান্ড একাদশঃ- এলেন, রবিন্দ্র, ইয়াং, গ্রান্ডহোম, লাথাম(ক্যাপ্টেন), হেনরি, ব্লান্ডেল, ম্যাকেঞ্জি, কোগ্লেইন, প্যাটেল, ডাফি।
বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, লিটন, মাহেদি, সাকিব, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), আফিফ, সোহান, সাইফউদ্দিন, নাসুম ও মুস্তাফিজ।
