২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নাসুম-রিয়াদে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ জয়!

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর , ২০২১ ৭:৫০

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড দলপতি টম লাথাম।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন রাচিন রবিন্দ্র ও ফিন এলেন। ইনিংসের প্রথম ওভারে ব্যক্তিগত শূন্য রানে নাসুম আহমেদের প্রথম শিকার হয়ে রাচিন রবিন্দ্র সাজঘরে ফিরলে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।

রবিন্দ্রের পর ক্রিজে আসেন টম লাথাম। লাথাম ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১২ রানে নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন ফিন এলেন। এলেনের পর ক্রিজে আসেন উইল ইয়াং। তৃতীয় উইকেট জুটিতে লাথাম-ইয়াং যোগ করেন ৩৫ রান।ব্যক্তিগত ২১ রানে মাহেদি হাসানের বলে টম লাথাম প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। লাথামের পর ক্রিজে আসেন হেনরি নিকোলস। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ১ রানে নাসুম আহমেদের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন হেনরি নিকোলস।

নিকোলসের পর ক্রিজে আসেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। ক্রিজে এসেই নিজের প্রথম বলে ব্যক্তিগত শূন্য রানে নাসুম আহমেদের চতুর্থ শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। গ্রান্ডহোমের পর ক্রিজে আসেন টম ব্লান্ডেল। ৬ষ্ট উইকেট জুটিতে ইয়াং-ব্লান্ডেল গড়েন ২০ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ৪ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে টম ব্লান্ডেল সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। ব্লান্ডের পর ক্রিজে আসেন কোল ম্যাকেঞ্জি। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত শূন্য রানে মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন কোল ম্যাকেঞ্জি।

ম্যাকেঞ্জির পর ক্রিজে আসেন এজাজ প্যাটেল। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৪ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে সাজঘরে ফিরেন এজাজ প্যাটেল। প্যাটেলের পর ক্রিজে আসেন ব্লাইর টিকনার। টিকনার ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৪৬ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন উইল ইয়াং। ইয়াংয়ের পর ক্রিজে আসেন হামিশ বেনেট।বেনেট ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের চতুর্থ শিকার হয়ে ফিরেন ব্লাইর টিকনার।

শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে উইল ইয়াং ৪৬(৪৮) রান, টম লাথাম ২১(২৬) রান ও ফিন এলেন ১২(৮) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান ৪টি করে উইকেট, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মাহেদি হাসান ১টি করে উইকেট নেন।

৯৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও নাসুম আহমেদ। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৮ রান। ব্যক্তিগত ৬ রানে কোল ম্যাকেঞ্জির বলে লিটন দাস প্যাভিলিয়নে ফিরলে বাংলাদেশ তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।

লিটনের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাইম-সাকিব গড়েন ২৪ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ৮ রানে এজাজ প্যাটেলের প্রথম শিকার হয়ে সাকিব আল হাসান সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত শূন্য রানে এজাজ প্যাটেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মুশফিকুর রহিম।

মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে রিয়াদ-নাইম গড়েন ৩৪ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৯ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়ে মোহাম্মদ নাইম শেখ সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের সমাপ্তি ঘটে। নাইমের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে রিয়াদ-আফিফ ২৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪৩(৪৮)* রান, মোহাম্মদ নাইম শেখ ২৯(৩৫) রান ও সাকিব আল হাসান ৮(৮) রান করেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে এজাজ প্যাটেল ২ উইকেট ও কোল ম্যাকেঞ্জি ১টি উইকেট নেন।

ফলাফলঃ- বাংলাদেশ ৬ উইকেটে বিজয়ী।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- নাসুম আহমেদ।

নিউজিল্যান্ড একাদশঃ- রবিন্দ্র, এলেন, লাথাম(ক্যাপ্টেন), ইয়াং, নিকোলস, গ্রান্ডহোম, ব্লান্ডেল, ম্যাকেঞ্জি, প্যাটেল, টিকনার, বেনেট।

বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, লিটন, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), আফিফ, সোহান, মাহেদি, সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজ ও নাসুম।

, , ,

মতামত জানান :