শূন্য রানে দুই উইকেট হারানো পাপুয়ানিউগিনি ঘুরে দাঁড়ায় ভালা-আমিনির দারুণ ব্যাটিং! এরপর ওমানের দাপট; মাকসুদের বোলিং তোপে ১২৯ রানে অলআউট হওয়া পাপুয়ানিউগিনি ম্যাচ জিতে নেয় ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। ফিফটির দেখা পান দুই ওপেনার আকিব ও সিং!
ওমানের মাসকাটের আল আমরাত স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক ওমানের অধিনায়ক জিশান মাকসুদ। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে বেশী সময় নেননি ওমানি বোলাররা। শূন্য রানে দুই উইকেট শিকার করে অধিনায়ক মাকসুদের মুখে হাসি ফুটান বিলাল ও কলিমুল্লাহ।
শূন্য রানে দুই উইকেট হারানো পাপুয়ানিউগিনি ঘুরে দাঁড়ায় অধিনায়ক ভালা ও আমিনির ব্যাটে। দুইজন মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে গড়েন রেকর্ড। ৮১ রানের এই জুটি পাপুয়ানিউগিনির টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জুটি। দলীয় ৮১ রানে আমিনি রান আউট হলে খেয় হারিয়ে বসে পাপুয়ানিউগিনি। ফিফটি করে আসাদ ফিরে গেলে বড় স্কোরের আশা ভঙ্গ হয় পাপুয়ানিউগিনির। পাপুয়ানিউগিনির অধিনায়কের ফিফটির বিপরীতে ওমান অধিনায়কের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১২৯ রানে থামে প্রথম ইনিংস।
১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকেন আকিব ও সিং! দুই ওপেনারের নয়নাভিরাম ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ ওমানের ভক্তরা। ১০০ রানের ওপেনিং জুটি গড়ার সাথে সিং দেখা পান চলতি বিশ্বকাপ নিজের প্রথম ও সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ফিফটির! এছাড়াও ফিফটির দেখা পান আরেক ওপেনারর আকিবও। সিংয়ের ৭৩ ও আকিবের ৫০ রানে ভর করে ওমান জয়লাভ করে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পাপুয়ানিউগিনি ১২৯/৯(২০)
আসাদ ভালা ৫৬, চার্লস আমিনি ৩৭;
জিশান মাকসুদ ২০/৪, বিলাল খান ১৬/২
ওমান ১৩১/০(১৩.৪)
জতিন্দার সিং ৭৩, আকিব ৫০
ফলাফল: ওমান ১০ উইকেটে জয়ী।