২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ালিফাই ম্যাচে ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে স্কটল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন জর্জ মানসি ও কাইল কোর্টজার। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৫ রান। ব্যক্তিগত শূন্য রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে কাইল কোর্টজার প্যাভিলিয়ন ফিরলে স্কটল্যান্ডের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
কোর্টজারের পর ক্রিজে আসেন ম্যাথু ক্রস। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ১১ রানে মাহেদি হাসানের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ম্যাথু ক্রস। ক্রসের পর ক্রিজে আসেন রিচি বেরিংটন। বেরিংটন ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২৯ রানে মাহেদি হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন জর্জ মানসি। মানসির পর ক্রিজে আসেন কালাম ম্যাকলোড। ম্যাকলোড ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২ রানে সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন রিচি বেরিংটন। বেরিংটনের পর ক্রিজে আসেন মিচেল লেস্ক। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত শূন্য রানে সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মিচেল লেস্ক।
লেস্কের পর ক্রিজে আসেন ক্রিস গ্রিভস।গ্রিভস ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৫ রানে মাহেদি হাসানের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন কালাম ম্যাকলোড। ম্যাকলোডের পর ক্রিজে আসেন মার্ক ওয়াট। ৭ম উইকেট জুটিতে গ্রিভস-ওয়াট মিলে গড়েন ৫১ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২২ রানে তাসকিন আহমেদের বলে মার্ক ওয়াট সাজঘরে ফিরে গেলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। ওয়াটের পর ক্রিজে আসেন জস দাবে। দাবে ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৪৫ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ক্রিস গ্রিভস।
গ্রিভসের পর ক্রিজে আসেন সাফইয়ান শারিফ। শারিফ ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৮ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন জস দাবে। দাবের পর ক্রিজে আসেন ব্রাডলি হোয়েল। স্কটল্যান্ডের ইনিংসের বাকি বলগুলো শারিফ-হোয়েল খেয়ে আসেন।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করে স্কটল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে ক্রিস গ্রাভিস ৪৫(২৮) রান, জর্জ মানসি ২৯(২৩) রান ও মার্ক ওয়াট ২২(১৭) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে মাহেদি হাসান ৩ উইকেট, সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান ২টি করে উইকেট, তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।
১৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৮ রান। ব্যক্তিগত ৫ রানে জস ডেভির বলে সৌম্য সরকার সাজঘরে ফিরে গেলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিব ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৫ রানে ব্রাডলি হোয়েলের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। লিটনের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে গড়েন ৪৭ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২০ রানে ক্রিস গ্রিভসের প্রথম শিকার হয়ে সাকিব আল হাসান সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের সমাপ্তি ঘটে। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৩৮ রানে ক্রিস গ্রিভসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মুশফিকুর রহিম।
মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফিফ-রিয়াদ গড়েন ৩২ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ১৮ রানে মার্ক ওয়াটের বলে আফিফ হোসেন প্যাভিলিয়ন ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। আফিফের পরে ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ২ রানে ব্রাডলি হোয়েলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন নুরুল হাসান সোহান। সোহানের পর ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান। মাহেদি ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২ রানে ব্রাডলি হোয়েলের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাহেদি-সাইফ মিলে অনেক চেষ্টা করেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌছাতে পারেন নি।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে মুশফিকুর রহিম ৩৮(৩৬) রান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৩(২২) রান ও সাকিব আল হাসান ২০(২৮) রান করেন। স্কটল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে ব্রাডলি হোয়েল ৩ উইকেট, ক্রিস গ্রিভস ২ উইকেট, মার্ক ওয়াট ও জস ডেভি ১টি করে উইকেট নেন।
ফলাফলঃ- স্কটল্যান্ড ৬ রানে বিজয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- ক্রিস গ্রিভস।
স্কটল্যান্ড একাদশঃ- মানসি, কোর্টজার(ক্যাপ্টেন), ক্রস, বেরিংটন, ম্যাকলোড, লেস্ক, গ্রিভস, ওয়াট, ডেভি, শারিফ ও হোয়েল।
বাংলাদেশ একাদশঃ- লিটন, সৌম্য, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), আফিফ, সোহান, মাহেদি, সাইফউদ্দিন, তাসকিন ও মুস্তাফিজ।
