তামিম-লিটনের রেকর্ড জুটির পর সাকিব-ইয়াসিরের দুর্দান্ত ব্যাটিং। বল হাতে দুরন্ত তাসকিন, দ্বিতীয় স্পেলে বিধ্বংসী মিরাজে বিফলে গেলো ডুসেন-মিলারের লড়াকু ইনিংস। সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশ।
এর আগে সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাবধানে ইনিংসের সূচনা করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস উদ্বোধনী জুটিতে এনে দেন ৯৫ রান, যা প্রোটিয়াদের মাটিতে বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটি। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইয়াসিরকে সাথে নিয়ে সেঞ্চুরির জুটি করেন সাকিব।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সাকিব তুলে নেন ফিফটি, খেলেন ৭৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। এদিন ঠিক ফিফটি করে আউট হোন লিটন ও ইয়াসির। শেষ দিকে রিয়াদ-মিরাজের ক্যামিওতে ৩১৪ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
৩১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপে পরে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। শরিফুলের শুরুটা রাঙিয়ে দেন তাসকিন। দারুণ একটা ওভারে দুই উইকেট নিয়ে টাইগারদের এগিয়ে নিলেও চতুর্থ উইকেট জুটিতে ডুসেন-বাভুমা কিছুটা চাপে রাখে বাংলাদেশকে। এবারও শরিফুল ব্রেকথ্রু এনে দেন বাংলাদেশকে।
দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে গেলেও হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে ডুসেন কে। বৃথা গেছে মিলাদের দারুণ ইনিংসটিও। মিরাজের চার উইকেটের সাথে তাসকিনের ৩ ও শরিফুলের দুই উইকেটে বাংলাদেশ জয় পায় ৩৮ রানে। ম্যাচ সেরা হোন সাকিব আল হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
বাংলাদেশ : ৩১৪/৭ (৫০ ওভার)
সাকিব ৭৭, ইয়াসির ৫০, লিটন ৫০, তামিম ৪১
মহারাজ ৫৬/২, জানসেন ৫৭/২
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২৭৬/১০ (৪৮.৫ ওভার)
ভন ডার ডুসেন ৮৬, মিলার ৭৯, বাভুমা ৩১
মিরাজ ৬১/৪, তাসকিন ৩৬/৩
ফলাফল: বাংলাদেশ ৩৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান।
