১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ব্রিলিয়্যান্ট ব্যাটিং ফ্রম জয়

প্রতিবেদক
Arfin Rupok
শনিবার, ২ এপ্রিল , ২০২২ ১১:১১

একজন ক্রিকেটারের ক্যালিবার কতটুকু এটার উত্তরে আপনি ফিরে যেতেন পারেন কিছুদিন আগে কিউই দেশে! সেটিতে পুরোপুরি ধারণা না পেয়ে থাকলে আজকের ইনিংসটি সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিয়েছে নিশ্চয়ই। বয়স মাত্র একুশ, খেলতে নেমেছে মাত্র তৃতীয় ম্যাচ। আর এতেই যেনো জয় ‘জয়’ করেছে নিজের স্বপ্নকে; খেলেছেন অনবদ্য এক ইনিংস, একদম পিওর ক্লাস!

সেঞ্চুরির পর জয়! ছবি: গেট্টি

মাথা ঠান্ডা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি; দ্রুতবেগে ছুটে আসা বলটি রিড করে লীভ করা কিংবা একটু এগিয়ে এসে বোলারকে রুম ক্রিয়েক্ট করতে না দেওয়া, সবকিছুতে আপনি মুগ্ধ হতে পারেন। স্পিনারদের বিপক্ষে ধৈর্য আর সংগ্রাম করে কি দারুণ একটা ইনিংসটাই না খেললেন!

ইনিংসের প্রথম ও শেষ বল মোকাবিলা করা জয় পুরো ইনিংসটাই সাজিয়েছেন নিজের মতো করে। ভালো বলে সমীহ, খারাপ বলের ফায়দা লুফে নেওয়া জয় চাপে পড়েছেন, চাপকে জয় করেছেন, দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছেন! অপর প্রান্তের ব্যাটারদের যাওয়া-আসা দেখে কখনও কখনও টেনশনেও পড়েছিলেন, তবে সেই টেনশন দূর করেছেন নিমিষেই।

টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্য্য দরকার, দরকার লড়ে যাও কিংবা টেম্পারমেন্ট; যার সবটাই ফুটে উঠেছিলো জয়ের মাঝে। ১৩৭ রানের মধ্য দিয়ে আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বনে যাওয়া জয় পরিস্থিতিকে দিয়েছেন উজাড় করে। এর চেয়েও মুগ্ধ করেছেন পিওর টাইমিং আর শট সিলেকশনে। মাত্র একুশ বছর বয়সে জয় যা করে দেখিয়েছেন এটিকে আসলে কিবোর্ডে তুলে ধরা বেশ কঠিনও বটে।

চাপের মুখে ঠান্ডা মাথায় খেলে যাওয়া জয় দায়িত্ব নিয়ে খেলেছেন, প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। ১৩৭ রানের ইনিংসে শেষ ১৭ বলে জয় সংগ্রহ করেছে ২৭ রান! এখানে মুগ্ধ করেছে তার দায়িত্বশীলতা, জয় বুঝিয়ে দিয়েছেন শুধু স্ট্রাইক রোটেশন না করে দ্রুত রান বাড়িয়ে নেওয়া একজন বুদ্ধিমানের কাজ, জয় এখানে অনবদ্য একটা ফিনিশ দিয়েছেন। জয়ের আজকের ইনিংসটি একদম পিওর ক্লাস।

এবার একটু পিছনে ফিরে দ্বিতীয় দিনে ফিরলে খালেদের বলে গালি অঞ্চলে দুই দু’টি ক্যাচ নিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন জয়। বাধ্য করছিলেন পুরোনো স্মৃতিতে ফিরতে। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে গালি অঞ্চলে এমন চান্স কয়টা লুফে নিয়েছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা সেটি খুঁজে বের করা কঠিন হলেও জয় যে গালিতে সেরা দুইটা ক্যাচ লুফে নিয়েছে সেটিতে কোনো সন্দেহ নেই।

জয়ের এমন ইনিংস আগে না খেললেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন অ-১৯ ক্রিকেটেই। দায়িত্বশীলতা আর ক্লাসিক ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ করেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও। এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজেকে প্রমাণ করছেন দারুণ ভাবে। সাদা পোশাকে রঙিন শুরুর দিনে একটা রঙিন রেকর্ড মনে করিয়ে দিই; এই জয় অ-১৯ ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন চারটি মহাদেশে সেঞ্চুরির উদযাপনে মেতেছিলেন!

ব্রিলিয়্যান্ট ব্যাটিং ফ্রম জয়; ওয়েলডান!

, , ,

মতামত জানান :